মূলত এই ক্লাসগুলো থেকেই শিশুরা শিখবে আদব-আখলাক। প্রতিটি ক্লাসের দৈর্ঘ্য হবে ৪৫–৬০ মিনিট পর্যন্ত, এরপর থাকবে ১৫ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্ব। শিশুরা যেন মনোযোগ ধরে রাখতে পারে সেই চিন্তা মাথায় রেখেই ক্লাসগুলো সাজানো হয়েছে।
প্রতিটি ক্লাসের শেষে বাচ্চারা কী শিখলো তা যাচায়ের জন্য থাকবে কুইজ ও হোমওয়ার্ক। কুইজ গুলোতে যারা বিজয়ী হবে তাদের জন্য রয়েছে অসংখ্য পুরস্কার, যেন বাচ্চাদের আগ্রহ টিকে থাকে। পাশাপাশি আমাদের টিম বাচ্চাদের হোমওয়ার্ক যাচাই করে প্রয়োজনীয় ফিডব্যাক দিয়ে থাকে, যেন শেখা হয় পূর্ণাঙ্গ।
আদব-আখলাক মুখস্থ করে নয়, জীবনে কাজে লাগিয়ে শিখতে হয়। প্রতিটি ক্লাসের বিষয় অনুযায়ী দেওয়া হয় বাস্তব জীবনের অনুশীলনঃ যেমন আজ তোমার কাজ ১০ জনকে সালাম দেওয়া, আজ তুমি বড়দের সামনে নম্র থাকবে, খাবারের আদব শেখার পর বলা হবে আজ তুমি খাবারের আদব অনুসরণ করবে ও বাড়ির কাজে আব্বু-আম্মুকে হেল্প করবে ইত্যাদি। আমাদের লক্ষ্য হলো শেখা যেন শিশুর স্বভাবে পরিণত হয়ে যায়।
বাচ্চাদের পাশাপাশি বাবা-মায়েরও অনেক কিছু শেখার আছে। তাই প্রতি দুই সপ্তাহে একদিন অর্থাৎ প্রতি ৫টি ক্লাস পরপর একটি বিশেষ সেশনে মা-বাবারাই হবেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এই ক্লাসে বাবা-মায়ের কাছ থেকে শোনা হয় বাচ্চাদের সমস্যার কথা, আলোচনা হয় বাস্তবভিত্তিক সমাধান নিয়ে।
প্রতিটি ক্লাসের রেকর্ড আপনার জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে, যদি কখনো কোনো কারণে ক্লাস মিস হয়ে যায়, যেকোনো সময়, যেকোনো ডিভাইস থেকে খুব সহজেই দেখে নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
আমাদের কমিউনিটি গ্রুপের নাম হলো “আদর্শ মানুষের খোঁজে” এটি একটি সাপোর্ট গ্রুপ। এখানে আপনি যে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন, সমস্যার কথা শেয়ার করতে পারবেন, অন্যদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ কোর্স শেষ হওয়ার আগেই আপনার মনে হবে এটি আপনার পরিবার। যেখানে সবাই ভালো কথা বলে ভালো মানুষ হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করে।
আদব আখলাক কোর্সে একজন ভর্তি হলে পরিবারের ভাইবোন বা একাদিক সন্তান একসাথে ক্লাস করতে পারবে। শুধুমাত্র ক্লাস করার জন্য আলাদা আলাদা সবাইকে রেজিস্ট্রেশন করার দরকার নেই।
একাডেমিক শিক্ষা একজন মানুষকে হয়তো বড় করে তোলে, কিন্তু আদবই তাকে সত্যিকারের মানুষ বানায়। আমাদের আদব আখলাক কোর্সের ইফেক্টিভ লাইভ ক্লাসগুলো শিশুর অন্তরে ভদ্রতা, নম্রতা ও শালীনতার বীজ বপন করে। এবং ধীরে ধীরে গড়ে তোলে এমন একটি চরিত্র, যে সমাজে সম্মানিত, সবার প্রিয় ও গ্রহণযোগ্য মানুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে।
শুধু কথা বলা নয় কীভাবে ভদ্রভাবে কথা বলতে হয়, সেটাই শেখানো হয় এই কোর্সে। শিশুরা ধাপে ধাপে অনুশীলনের মাধ্যমে শেখে বাবা-মায়ের সাথে কথা বলার ধরন ও শিক্ষকের সাথে কথা বলার নিয়ম। কাকে আদর করতে হয়, কার সামনে কীভাবে কথা বলতে হয়। চোখে চোখ রেখে সালাম দেওয়া, অতিথিদের সম্মান দেখানো, ছোটদের প্রতি মমতা দেখানো এসব আচরণ ধীরে ধীরে তার স্বভাবে পরিণত হয়।
অনেক সময় শিশুরা বাবা-মায়ের কথা হালকাভাবে নেয়, কিন্তু একই কথা কোনো গাইড বা শিক্ষকের মুখে শোনলে সেটিকে গুরুত্ব দেয়। এই কোর্সের নির্দিষ্ট ক্লাসগুলো থেকে বাচ্চারা উপলদ্ধি করতে পারে, বাবা-মা কতোটা শুভাকাঙ্ক্ষী ও বাবা-মায়ের কথার পেছনে থাকে মঙ্গল আর মমতা। ফলে শিশুর ভেতরে পরিবর্তন আসে, সে মন দিয়ে কথা শুনতে শুরু করে, এবং নিজের জীবনেই উন্নতি দেখতে পায়।
এই কোর্সে আমরা শিশুদেরকে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যাবহার করতে বা গেম খেলতে সরাসরি নিষেধ করি না। কিন্তু ক্লাসগুলোর মধ্যমে তাদের ভেতরে এমন উপলব্ধি জাগিয়ে তুলি, যার মাধ্যমে তারা নিজেই বুঝতে পারে কীভাবে এসব আসক্তি তাদের সময় ও জীবনের ক্ষতি করছে। একটি দুটি নয়, ডজন ডজন শিশু এখন নিজের থেকেই মোবাইল দূরে রাখে, ক্লাস করে, দোয়া পড়ে এবং পরিবারে সময় দেয় আলহামদুলিল্লাহ।
এখনকার শিশুরা কারনে অকারনে সময় নষ্ট করে ফেলে। তাই আদব আখলাক কোর্সে হাতে-কলমে শেখানো হয় রুটিন কীভাবে বানাতে হয়, সময় কিভাবে ভাগ করতে হয়, নিয়মিত কাজ কীভাবে করতে হয়। প্রতিটি ক্লাস, হোমওয়ার্ক ও কুইজ এমনভাবে সাজানো, যাতে শিশুর মধ্যে গড়ে ওঠে সময়জ্ঞান, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও রুটিন মেনে চলার অভ্যাস।
বিনয় এমন একটি গুণ, যা মানুষকে সবার কাছে প্রিয় এবং সম্মানিত করে তোলে। বিনয়ী মানুষকে সবাই ভালোবাসে। আদব আখলাক কোর্সে শিশুরা ধাপে ধাপে শেখে কীভাবে বড়দের শ্রদ্ধা, ছোটদের স্নেহ, এবং নিজের ভুল স্বীকার করতে হয়। রাগ সংবরণ আর ভদ্র ব্যবহার এই অভ্যাসগুলো মিলেই গড়ে উঠে একজন শ্রদ্ধাভাজন ও মার্জিত মানুষ।
আদর্শ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ফয়জুল্লাহ মাহমুদ একজন জনপ্রিয় শিক্ষক ও পথপ্রদর্শক। গত কয়েক বছর ধরে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন শিশুদের শুধু ভালো ছাত্র নয়, বরং ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। তার বিশ্বাস, “একজন আদর্শ মানুষ গড়ে তোলা মানে একটি আদর্শ সমাজের ভিত্তি তৈরি করা।”
এই বিশ্বাস থেকেই তার উদ্যোগ “আদর্শ একাডেমি” যেখানে শিশুদের শেখানো হয় ভদ্রতা, শিষ্টাচার, দায়িত্ববোধ, সততা, সময়জ্ঞান ও মানবিকতা যে শিক্ষা একজন মানুষকে সত্যিকারের মানুষ বানায়।
তিনি তার বাস্তবভিত্তিক কোর্স, সেমিনার ও পথনির্দেশনার মাধ্যমে হাজার হাজার অভিভাবককে সহায়তা করেছেন সন্তানকে নৈতিক ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ চরিত্রে গড়ে তুলতে। বিশেষ করে তার “আদব আখলাক কোর্স” ও “নেক সন্তান সেমিনার” আজ অনেক পরিবারে দৃশ্যমান পরিবর্তনের গল্প হয়ে উঠেছে।
তিনি শুধু শেখান না রবং শিশুর অন্তরে ধীরে ধীরে রোপণ করেন পরিবর্তনের বীজ। আদব আখলাক কোর্স সিজন ২-এর প্রতিটি ক্লাস সরাসরি পরিচালনা করবেন উস্তাদ ফয়জুল্লাহ মাহমুদ নিজে।
আদর্শ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ফয়জুল্লাহ মাহমুদ একজন জনপ্রিয় শিক্ষক ও পথপ্রদর্শক। গত কয়েক বছর ধরে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন শিশুদের শুধু ভালো ছাত্র নয়, বরং ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। তার বিশ্বাস, “একজন আদর্শ মানুষ গড়ে তোলা মানে একটি আদর্শ সমাজের ভিত্তি তৈরি করা।”
এই বিশ্বাস থেকেই তার উদ্যোগ “আদর্শ একাডেমি” যেখানে শিশুদের শেখানো হয় ভদ্রতা, শিষ্টাচার, দায়িত্ববোধ, সততা, সময়জ্ঞান ও মানবিকতা যে শিক্ষা একজন মানুষকে সত্যিকারের মানুষ বানায়।
তিনি তার বাস্তবভিত্তিক কোর্স, সেমিনার ও পথনির্দেশনার মাধ্যমে হাজার হাজার অভিভাবককে সহায়তা করেছেন সন্তানকে নৈতিক ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ চরিত্রে গড়ে তুলতে। বিশেষ করে তার “আদব আখলাক কোর্স” ও “নেক সন্তান সেমিনার” আজ অনেক পরিবারে দৃশ্যমান পরিবর্তনের গল্প হয়ে উঠেছে।
তিনি শুধু শেখান না রবং শিশুর অন্তরে ধীরে ধীরে রোপণ করেন পরিবর্তনের বীজ। আদব আখলাক কোর্স সিজন ২-এর প্রতিটি ক্লাস সরাসরি পরিচালনা করবেন উস্তাদ ফয়জুল্লাহ মাহমুদ নিজে।
🗓️ ১ মে, ২০২৫
৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য। এই বয়সেই শিশুর ব্যক্তিত্ব ও অভ্যাস গড়ে ওঠে। তাই এখন আদব-আখলাক শেখালে তা সারা জীবনের চরিত্রে পরিণত হয়। ছোটবেলাতেই শেখানোই সবচেয়ে কার্যকর।
⏳ ২ মাস
💰 ১০২০/- টাকা