মনোবিজ্ঞানে একটা সুন্দর কথা আছে “যদি কোনো কাজ ২১ দিন ধরে করা যায়, তাহলে সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়।” এজন্য আমরা আয়োজন করেছি ২১ দিনের ভালো কাজের চ্যালেঞ্জ। এই প্রোগ্রামে আপনার সন্তান প্রতিদিন একটি করে ভালো কাজ শিখবে এবং তা বাস্তবে প্রয়োগ করবে। প্রতিদিন একটি ভিডিওর মাধ্যমে খুব সহজ ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হবে—আজকের ভালো কাজটি কী, কেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ, আর কীভাবে তা সুন্দরভাবে করা যায়। শিশুরা যেন প্রতিটি কাজ আন্তরিকভাবে করে, এজন্য থাকবে একটি ছোট হোমওয়ার্ক, যা জমা দিতে হবে আমাদের আদর্শ মানুষের গ্রুপে। আমরা প্রতিটি কাজ খেয়াল করব, এবং ধারাবাহিকভাবে ২১ দিন হোমওয়ার্ক জমা দেওয়া শিশুদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। এই চ্যালেঞ্জ এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিদিন একটু একটু করে শিশুর ভেতরে গড়ে ওঠে ভালো কাজের অভ্যাস ও সুন্দর আচরণ। আপনার সন্তান প্রতিদিন যে ছোট ছোট ভালো কাজগুলো করবে, সেগুলোর মাধ্যমেই একদিন সে হয়ে উঠবে একজন আদর্শ মানুষ, ইনশাআল্লাহ।
প্রতিদিন একটি করে ভিডিও পাঠানো হবে, যেখানে শিশুকে শেখানো হবে একটি ভালো কাজ, তার গুরুত্ব ও কীভাবে তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা যায়।
রঙিন ও বড় আকারের একটি হ্যাবিট ট্র্যাকার পাঠানো হবে, যেখানে শিশুর প্রতিদিনের ভালো কাজগুলো টিক চিহ্ন দিয়ে ট্র্যাক করতে পারবে।
২১ দিন নিয়মিত হোমওয়ার্ক জমা দেওয়া শিশুদের মধ্য থেকে নির্বাচিত সেরা কয়েকজনকে দেওয়া হবে, একটি আকর্ষণীয় কাচের ক্রেস্ট ও বিশেষ স্বীকৃতি।
শিশু ও অভিভাবকদের জন্য থাকছে আলাদা একটি গ্রুপ, যেখানে মিলবে গাইডলাইন, অনুপ্রেরণা ও প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসার উত্তর।
প্রতি সপ্তাহে থাকবে বিশেষ একটি লাইভ সেশন, যেখানে আলোচিত হবে শিশুদের চরিত্র গঠন ও বাস্তব জীবনের আচরণ উন্নয়নের বিষয়।
আমরা পাঠাবো একটি কার্ড, যেখানে শিশু নিজের নাম ও তারিখ লিখে প্রতিজ্ঞা করবে ভালো কাজের। এটাই হবে তার আদর্শ জীবনের শুরু।
৫-১৫ বছর বয়সী ছেলে ও মেয়ে যাদের পড়াশোনায় মনযোগ কম, মোবাইল বা গেমে আসক্ত, রুটিনে চলতে পারে না, বাবা-মায়ের কথা শোনতে চায়না, ভালো কাজে অনুপ্রেরণাহীন বা মনমরা, যাদেরকে নিয়ে অভিভাবক সবসময়য় দুশ্চিন্তায় ভোগেন।
যারা পড়াশোনায় ভালো কিন্তু আরও ভালো হতে চায়, আদব, ভদ্রতা ও চারিত্রিক গুণাবলিতে আরও উন্নতি করতে চায়, পজিটিভ মাইন্ডসেট নিয়ে ভালো মানুষ হওয়ার প্রস্তুতিতে আছে, বাবা-মা ও ভাই-বোনের সাথে সম্পর্ক আরও ভালো করতে চায়।
শিক্ষক, পথপ্রদর্শক ও আদর্শ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা। গত কয়েক বছর ধরে তিনি শিশুদের মধ্যে নৈতিকতা, আদব-আখলাক, আচরণ ও আত্ম-উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন। তার পাঠদান পদ্ধতি বাস্তবভিত্তিক, শিশুদের মানসিক কাঠামো বোঝে এমনভাবে সাজানো।
হ্যাঁ, প্রতিটি সন্তানের জন্য আলাদা করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কারন যেহেতু হ্যাবিট ট্রেকার পাঠানো হবে ও হোমও্যারক দেখে পুরষ্কার দেয়া হবে।
জি, প্রতিটি ভিডিও চ্যালেঞ্জ রেকর্ড আকারে থাকবে। আপনারা এগুলো মোবাইলে সেইভ করে রাখতে পারবেন।
আপনার ঠিকানায় হোম ডেলিভারি করা হবে।
হোয়াটস্যাপে। একটি প্রাইভেট গ্রুপে আপনাকে যুক্ত করা হবে যেখানে প্রতিদিন ভিডিও গুলো পাঠানো হবে।